খুলনায় আদালত চত্বরে এক নারীকে শীলতা হানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
- আপডেট টাইম ১১:১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪
সোনিয়া তালুকদার খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান:
খুলনায় আদালত চত্বরে এক নারীকে শীলতা হানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।মঙ্গলবার (২৮/৫/২০২৪ ইং) খুলনার বিভাগীয় শ্রম আদালতে শ্রম ৩৭/২৩ মামলার বাদী ইরানী পারভীন অদ্য ধার্য তারিখ বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা প্রদান করতে গেলে শুনানী শেষে বিরোধী পক্ষ সুকুমার চন্দ্র দাস তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বাদী ইরানি পারভীনকে শ্রীলতা হানি করেন।এ বিষয়ে খুলনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে যার নম্বর ২০৮৩/২৪।অভিযোগ সূত্রে জানা যায় সুকুমার চন্দ্র দাস যিনি একাধিক বিবাহকারী একজন মাদক ব্যবসায়ী, এবং বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের গডফাদার।বাদী তার অভিযোগে বলেন সুকুমার চন্দ্র দাস চাকুরী দিয়ে অসহায় মেয়েদের ট্রাপে ফেলে বিবাহের নামে প্রতারণা করেন।যার ভূক্তভোগী সে নিজেও। এটা তার একপ্রকার নেশা।অভিযোগ রয়েছে তার কোম্পানিতে শ্রমিকদের মজুরি ঠিকমতো না দিয়ে তিনি তা আত্মসাৎ করেন।তার বিরুদ্ধে দেশের টাকা বিদেশে পাচার, স্বর্ণ চোরা চালান সহ নানা ধরনের অবৈধ ব্যবসা রয়েছে তার। রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে ও প্রশাসনের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় সুকুমার চন্দ্র দাস দীর্ঘ বছর ধরে এসব অপকর্ম করে আসছেন বলে জানান ঐ নারী।তিনি বলেন আমাকে তার কোম্পানীতে চাকুরী দিয়ে বেতন ভাতা না দিয়ে দীর্ঘদিন ঘুরাতে থাকলে পরে আমাকে বিবাহ করেন।পাশাপাশি তার ঔষধ কোম্পানিতে আমাকে পরিচালক পদে ৫০ হাজার টাকা বেতনে চাকরী দেন।কিন্তু প্রথম দুমাস বেতন দিলেও চাকরী চলাকালীন সময়ে সে আর কোন বেতন ভাতা আমাকে দেননি।এমনকি স্ত্রী হিসেবেও সে আমার কোন ভরন পোষণও দিতনা।এ বিষয়ে আমি শ্রম আদালত ও ঔষধ প্রশাসনে একটি অভিযোগ করি এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার নামে ১০০ টাকার ১০ থেকে ১২টি ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ক্রয় করেন। সেখানে আমি আমার সকল বকেয়া পাওনা টাকা পয়সা বুঝিয়া পেয়েছি মর্মে ড্রাফ করে আমাকে স্বাক্ষর দিতে বলেন। আমি টাকা না পেয়ে স্বাক্ষর দিবনা বললে সুকুমার এবং তার উকিল ও সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে গ্যাং রেপ করা সহ খুন করার হুমকি দেয়।এর পর তারা জবরদস্তি আমাকে টেনে হেঁচড়ে আদালত চত্বর থেকে বাইরে নিয়ে আসতে চাইলে স্থানীয় জনগনের সহায়তায় আমি তাদের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে খুলনা সদর থানায় উপস্থিত হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করি। যা বর্তমানে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সুকুমার চন্দ্র দাসের বক্তব্য নিতে চাইলে তাকে একাধিকবার ফোন দিলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি