শারীরিক লাঞ্ছিতের পর ১২ ঘণ্টা মেসে অবরুদ্ধ ছাত্রীরা, গ্রেপ্তার ৩
রাজশাহী অফিস
ঢাকার সময়
রাজশাহীর একটি ছাত্রীনিবাসে নিম্নমানের খাবারের প্রতিবাদ করায় এক ছাত্রীকে মারধরর করা হয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে শিক্ষার্থীরা গভীর রাতে ছাত্রীনিবাস থেকে বের হয়ে মিছিল নিয়ে থানায় যায়। মিছিল থেকে তারা ওই ছাত্রীনিবাসের মালিক ও তার ছেলের বিচার চেয়ে নানা স্লোগান দেন। থানায় গিয়ে ছাত্রীদের পক্ষ থেকে ছাত্রীনিবাসের মালিকসহ চারজনের নামে একটি মামলা দায়ের করে তারা।
এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন ওই ছাত্রীনিবাসের মালিক আব্দুল মতিন ও তার দুই ছেলে ঝলক ও পলক। নগরের কাদিরগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত এই ছাত্রীনিবাসটির নাম ‘ঝলক-পলক মেস’। ছাত্রীনিবাসটিতে প্রায় ৩০০ ছাত্রী থাকেন।
ছাত্রীদের অভিযোগ, রোববার বেলা ১১টার দিকে নিম্নমানের খাবারের প্রতিবাদ করার জের ধরেই ঘটনার সূত্রপাত। পরে দিনভর গেটে তালা মেরে রেখে ছাত্রীদের ছাত্রীনিবাসে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে পুলিশ গিয়ে দুজনকে আটক করে এবং ছাত্রীদের মুক্ত করে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রীরা মামলা করতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বোয়ালিয়া থানায় যায়। এ সময় ছাত্রীরা জানান, তাদের বেশিরভাগ ছাত্রীই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির প্রস্তুতির জন্য এই ছাত্রীনিবাসে আছেন। এই ছাত্রীনিবাসে টাকা বেশি নেওয়া হলেও খাবারের মান খুবই খারাপ।
ছাত্রীরা জানায়, রোববার সকালে নিম্নমানের খিচুড়ি পরিবেশনের প্রতিবাদ করেন এক ছাত্রী। এ ঘটনার পর তিনি এই ছাত্রীনিবাসে থাকবেন না বলে মালিককে জানিয়ে দেয়। এ সময় মালিক ওই ছাত্রীকে জানায়, ছাত্রীনিবাসে ওঠার সময় তিনি যে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন সেখানে আছে যে ৭ মাসের আগে ছাত্রীনিবাস ছাড়া যাবে না। ওই ছাত্রী চুক্তিপত্র দেখতে চাইলে মালিক জানান, আইনজীবী ছাড়া এটা দেখা যাবে না