শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধে মালিকপক্ষের সমস্যা পেলে প্রশাসক নিয়োগ: শ্রম উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৫০
ঙ
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন মতবিনিময় করেন। ছবি: সংগৃহীত
পোশাক শ্রমিকের বেতন দিতে গড়িমসির ক্ষেত্রে মালিকপক্ষের সমস্যা পেলে সেখানে প্রশাসক বসিয়ে দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, শ্রমিক ভাইবোনদের বকেয়া পাওনা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আপনাদের ফ্যাক্টরি চলে। দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। সব কারখানায় সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। এর ব্যত্যয়ের কোনো সুযোগ নেই। কেউ মজুরি বোর্ড বাস্তবায়ন না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মালিকপক্ষের সমস্যা পেলে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হবে। দেশকে সচল রাখতে হবে। রাস্তাঘাট অবরোধ করে জনগণকে কষ্ট দেয়ার সুযোগ নেই।
গণঅভ্যুত্থান / পঙ্গু হাসপাতালে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের যৌক্তিক সমাধান করা হবে। শ্রমিক ভাইদের রাস্তাঘাট অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানের আহবান জানাচ্ছি। আমাদের ওপর ভরসা রাখুন। আমরা আপনাদের কষ্ট অনুভব করছি। আপনাদের ন্যায্য পাওনা অবশ্যই পাবেন।
শ্রমিক অসন্তোষের কারণ অনুসন্ধান করা ও তা নিরসনের লক্ষ্যে ক্লাস্টার ভিত্তিতে কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়ে সাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়া ও সাভারসহ কারখানা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ক্লাস্টার ভিত্তিতে কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটি মালিকপক্ষকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে। তারা বেতন ভাতা পরিশোধ করছে কি না সেটিও নিশ্চিত করবে। শ্রমিক অসন্তোষ কেন হচ্ছে, কারণ কী অনুসন্ধানপূর্বক সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। শ্রমিক অসন্তোষ তৈরিতে বহিরাগতদের উসকানি রয়েছে কি না সেটিও কমিটি খতিয়ে দেখবে।
এদিকে, মঙ্গলবার গাজীপুর নগরীর কোনাবাড়ি এলাকায় শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ ও হাজিরা বোনাস বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে তিনটি কারখানায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। এর মধ্যে একটি কারখানার শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দাবিতে ১৪টি পোশাক তৈরি কারখানা বন্ধ রয়েছে।