কেরানীগঞ্জে থানায় সালিশি বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার পথে কুয়েত প্রবাসীকে হত্যা
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা :
জুলাই ২০২৫,
ঢাকার কেরানীগঞ্জে মোবাইল চুরির ঘটনায় থানায় সালিশি বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার সময় এক প্রবাসীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত কুয়েত প্রবাসীর নাম মোঃ তাইজুল ইসলাম (৬০)। গত সোমবার রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার তেঘরিয়া ইউনিয়নের ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তাইজুল ইসলাম তেঘরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমদি ঝালখোলা এলাকার মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা মরদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে এবং সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
নিহতের স্বজনরা জানান, তাজুল ইসলামের মেয়ের জামাই সবুজের দুটি মোবাইল ফোন চুরি হওয়ার পর চোর সন্দেহে দুজন রাজমিস্ত্রিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যায় সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা শেষে থানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে
তাজুল ইসলাম নিখোঁজ হয়। তাইজুল ইসলাম দীর্ঘ ২০ বছরের বেশি সময় ধরে কুয়েত প্রবাসী ছিলেন।কিছুদিন পূর্বে সে ছুটিতে দেশে এসেছেন।এই জুলাই মাসের ২৬ তারিখে আবার কুয়েত চলে যাওয়ার কথা ছিল তার । এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, কুয়েত প্রবাসী তাজুল ইসলামের মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জেরধরে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করে তার লাশ ঝিলমিল এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যেতে পারে। ঘটনাস্থল থেকে সিআইডির একটি দল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।