স্টাফ রিপোর্টার বিগত কয়েক সপ্তাহে রাজধানীর বাজারে সব ধরনের সবজির দামে উল্লেখযোগ্য হারে কমতে দেখা গেছে। আগে যেখানে দাম ছিল ক্রেতাদের নাগালের বাইরে, এখন তা ক্রেতাদের জন্য বেশ সাশ্রয়ী। তবে কিছু মৌসুমি সবজির দাম এখনও তুলনামূলকভাবে বেশি।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।
আজকের বাজারে প্রতি কেজি লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, গোল বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, গাঁজার প্রতি কেজি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৩০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৩০ টাকা, শালগম প্রতি কেজি ৩০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ব্রুকলি প্রতি পিস ৪০ টাকা, পেঁয়াজের ফুল প্রতি মুঠো ১০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া কাঁচা টমেটো প্রতি কেজি ৩০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বিচিওয়ালা শিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, সাধারণ শিম প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, নতুন আলু প্রতি কেজি ৫০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর মালিবাগ বাজারে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাব্বির আহমেদ। এ ক্রেতা বলেন, কিছুদিন আগেও সবজির দাম ছিল আকাশছোঁয়া, সেই তুলনায় এখন সবজির দাম কমেছে। তবে এখনো কিছু কিছু সবজির দাম বাড়তি রয়ে গেছে, যদিও বিক্রেতারা বলছেন— এখন এই সবজিগুলোর মৌসুম নয়। বাকি সবজিগুলোর দাম তুলনামূলক কম।
তিনি আরও বলেন, এখন সবজি কিনে খুব স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিগত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কমেছে ঠিকই, তবে দু-এক বছর আগে শীতের সময় সবজির দাম আরও কম থাকতো। তারপরেও কিছুদিন আগের চেয়ে সবজির দাম তুলনামূলক অনেকটাই কমে এসেছে।
মহাখালীর সবজি বিক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন, আগের তুলনায় সবজির দাম এখন অনেক কম। যে কারণে সবজি বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে। আগে এক আইটেমের সবজি যদি পাঁচ কেজি বিক্রি হতো, এখন সেটা ৮-১০ কেজি বিক্রি হয়। দাম কম থাকলে ক্রেতারা কিনে স্বস্তি পায়। বিক্রির পরিমাণ বাড়ায় আমরাও লাভবান হই।
তিনি আরও বলেন, পুরো শীতজুড়েই সবজির দাম এমন কমই থাকবে। শীত কমার পর সবজির দাম আবার কিছুটা বাড়তে পারে। তবে এখন যে সবজির দাম চলছে, এমন কম দাম অনেকদিন দেখা যায়নি।
সার্বিক বিষয় নিয়ে কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, “রাজধানীর অন্যান্য বাজারের তুলনায় কারওয়ান বাজারে সবজির দাম তুলনামূলক কম। তবে পরিবহন ও অন্যান্য খরচ যোগ হওয়ায় খুচরা বাজারগুলোতে দামে সামান্য পার্থক্য থাকে। গত বছরের তুলনায় এখন সবজির দাম অনেক কম। এতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই লাভবান হচ্ছেন”।