ঢাকাTuesday , 31 December 2024
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি ও বানির্জ্য
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. গ্রাম বাংলা
  9. চাকরী
  10. জাতীয়
  11. দূর্ঘটনা
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. নির্বাচন
  15. ফটো গ্যালারী

কঠিন চ্যালেঞ্জে কৃষি

dainikdinerpordin
December 31, 2024 11:33 am
Link Copied!

নিজেস্ব প্রতিবেদক: মধ্য পৌষেও নেই শীতের দেখা। দেশের অধিকাংশ এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে রয়েছে। বাসায়-অফিসে চলছে এসি। এ বছর গ্রীষ্মে টানা তাপপ্রবাহ ৭৬ বছরের রেকর্ড ভাঙে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়েছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার এই পরিবর্তন দেশের কৃষি খাতের ওপর গরম নিশ্বাস ফেলছে। ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে নানা ফসলে। আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল ১৪ পৌষ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করে শ্রীমঙ্গলে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আগের দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করে ২৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাত ও দিনের তাপমাত্রার ব্যবধান ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। অন্যদিকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা মূলত গ্রীষ্মকালের তাপমাত্রা। রাজধানীর অধিকাংশ অফিসে এখনো চলছে এসি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবদুল মান্নান বলেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয় সময়মতো সৃষ্টি না হওয়ায় এখনো শৈত্যপ্রবাহের দেখা মেলেনি। ডিসেম্বরের মধ্যেই একটা-দুটা শৈত্যপ্রবাহ হয়। এবার তেমন পরিস্থিত এখনো তৈরি হয়নি। উত্তরবঙ্গে রাতের ঠান্ডাটা পড়ছে মূলত কুয়াশার কারণে, তাপমাত্রার জন্য নয়। এখন দিনের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির নিচে থাকার কথা। অথচ, ২৭-২৮ ডিগ্রির ওপরে আছে। রাতের বেলা স্বল্প সময়ের জন্য তাপমাত্রা কমছে। অনেকটা গ্রীষ্মের আগমুহূর্তের পরিস্থিতি। দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান ৭-৮ ডিগ্রি থাকলে সেটা স্বাভাবিক ছিল। এর পেছনে রয়েছে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি। এর প্রভাব কৃষিতেও পড়বে। ফসলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি হবে না।

লিবিয়ার ইউনিভার্সিটি অব আল ফাতেহর কৃষি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এ ওয়ারিদ এক নিবন্ধে লিখেছেন, জলবায়ুগত উপাদানগুলো উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও বিকাশের সব পর্যায়কে প্রভাবিত করে। বিট, ব্রোকলি, বাঁধাকপি, গাজর, ফুলকপি, রসুন, লেটুস, পিঁয়াজ, মটরশুটি, আলু, মুলা, পালং শাক এবং শালগমের মতো শীতকালীন সবজিগুলো ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে সবচেয়ে ভালো বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার ও উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ড. ছালমা পারভীন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শীতের সময় শীত নেই, গরম দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তাপমাত্রার তীব্রতা বাড়ছে। বোরোতে ফুল ফোটার সময় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হলে ধান চিটা হয়ে যায়। উচ্চ তাপমাত্রায় এক ঘণ্টা থাকলেই যথেষ্ট। প্রতিটা ফসলের বিভিন্ন পর্যায়ের বিকাশের জন্য একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রা রয়েছে। সেই তাপমাত্রার কমবেশি হলেই ফলনে প্রভাব পড়ে। জলবায়ুর এই পরিবর্তন কৃষির জন্য চ্যালেঞ্জ ডেকে আনছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ব বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আবুল ফজল মুহাম্মদ শামীম আহসান বলেন, শীতকালীন ফসলে দানা গঠন পর্যায়ে রাতের তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকলে ফলন ভালো হয়। এখন তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। গরমকালে ৪৩-৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা উঠে যাচ্ছে। এমন হলে ফসলের দানা গঠনে সমস্যা হয়। সব ফসলেরই ফলন কমে যায়। তাপমাত্রার হেরফেরে নতুন নতুন পোকামাকড় ও রোগ-বালাইয়ের সৃষ্টি হয়। এই রোগ শনাক্ত করে ওষুধ বের করতে সময় লেগে যায়। তিনি বলেন, তাপমাত্রা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। উপায় হলো তাপমাত্রা সহনশীল জাত উদ্ভাবন করা। আমরা সেটা করছি। নতুন নতুন জাত আসছে। তবে গবেষণা আরও বাড়ানো দরকার।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।