জুলাই আন্দোলনে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে। শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যান। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এক নতুন সূচনার সাক্ষী হয়। ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের পতন হলেও তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। ধর্মীয় ইস্যুতে কিছু হটকারিতাও চলছে। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার ঠিকভাবে ফাংশন করছে না। কোনো কাজই ঠিকঠাক এগিয়ে নিতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলো, বিশেষত উদ্বেগ থেকেই ঐক্যের কথা বলছে।
রাজনীতিবিদরা বলছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব যদি রক্ষা করতে হয়, তাহলে সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়েই এগোতে হবে। তবে কিছু রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের চিন্তা চেতনার কারণে ঐক্য গড়ে তোলাই চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে হাজারো মানুষের রক্তস্নাত অভ্যুত্থানে প্রতিষ্ঠিত সরকার জনসমর্থন হারাবে। তাই ঐক্যের কারণে ফ্যাসিবাদ যে কোনো সময় আবার ফিরে আসতে পারে। সেই রাস্তা যেন তৈরি না হয় এবং ক্ষমতাচ্যুতদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন।
যদিও বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের এ নাজুক সময়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিভক্তি, রাজনৈতিক সংকট এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে দলমত নির্বিশেষে একটি বোঝাপড়ায় তা সম্ভব। প্রবীণ নেতা সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম একজন ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্য জাতীয় ঐক্য করছেন গত কয়েক যুগ ধরে। জেএসডি-জাসদ সভাপতি আ স ম রব জাতীয় ঐক্যের কথা বলতে বলতে ক্লান্ত। এখন প্রধান উপদেষ্টার কাছে বড় দল বিএনপির আকাঙ্ক্ষা -তাগিদ-আবদার-দাবিও জাতীয় ঐক্য। তাদের এ দাবিতে ঘটা করে একাত্মতা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
যে উপলব্ধির উদাহরণ এবারের জুলাই-আগস্ট বিপ্লব। আর ঘটনা ৫ আগস্ট। মোটা দাগের একটি ঐক্যের ফলই ৫ আগস্ট। একমাত্র তখনকার ক্ষমতাসীন ও তাদের সহযোগী-সুবিধাভোগী কিছু দল এবং মহল ছাড়া বাদবাকি সবাই ছিলেন ঐক্যভুক্ত। ধীরে ধীরে ওই ঐক্যে গোলমাল। সে সঙ্গে অবিশ্বাস-সন্দেহ।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টা একটি জাতীয় ঐক্যের জন্য মাথা পানি করে ফেলছেন টানা প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে। তার সঙ্গে যখন যে দলের নেতারা দেখা করছেন তাদেরই জাতীয় ঐক্যের আহ্বান করছেন তিনি। দেশের এ নাজুক সময়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিভক্তি, রাজনৈতিক সংকট এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে দলমত নির্বিশেষে একটি বোঝাপড়ায় তা সম্ভব। এমন সুযোগ বারবার আসে না। ৫ আগস্ট সেই সম্ভাবনা এনে দিয়েছে। জাতীয় ঐক্যের জন্য জাতীয় প্রয়োজন খুব প্রাসঙ্গিক। ঐতিহাসিক, সমাজতান্ত্রিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও বৈশ্বিক বাস্তবতা এখানে ফ্যাক্টর। রাজনৈতিক বিভক্তি চিরতরে কেটে যাবে না। তা কমবেশি সব সময় থাকবে। তবে নেতৃত্ব যদি দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিলে, দলীয় বিভেদ জাতীয় ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। দেশের সংকটময় সময়ে রাজনৈতিক নেতারা দলীয় বিভেদ ভুলে জাতীয় স্বার্থে এক হয়ে কাজ করলে, তা জনগণের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দেবে।
দলগুলোর সূত্রের ভাষ্য, অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর না হওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। যখন-তখন রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন এবং বিশৃঙ্খলায় জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ অনিরাপদ বোধ করছেন। ধর্মীয় ইস্যু এবং হুটহাট দাবিতে কূটনৈতিক সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়ছে। শৃঙ্খলা না ফিরলে নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে। তাই নৈরাজ্য দমনে শক্ত হতে হবে সরকারকে। নইলে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শক্তির বিভেদে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সমর্থনে ‘তৃতীয় পক্ষ’ সুযোগ নিতে পারে। তা ঠেকাতে অভ্যুত্থানের সব শক্তির জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন।
বিএনপি গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে জাতীয় ঐক্যের কথা বলে। বৃহস্পতিবার জামায়াত নেতারা যমুনায় সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে জানান, বিএনপির জাতীয় ঐক্যের আহ্বানের সঙ্গে তারাও একমত। যদিও এ দুই দলের মধ্যে এবং বিএনপির সঙ্গে ছাত্র নেতৃত্বের মতবিরোধ দেখা যাচ্ছে।
রাজনৈতিক দলগুলো চলমান অস্থিরতার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করছে। তাদের দৃঢ় সন্দেহ, ক্ষমতাচ্যুতদের ষড়যন্ত্র রয়েছে। তা মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। যদিও স্পষ্ট করছে না জাতীয় ঐক্য বলতে কী বোঝানো হচ্ছে, কীভাবে হবে ঐক্য। যদিও বিএনপি সংস্কারের ৩১ দফায় ঘোষণা করে রেখেছে, ক্ষমতায় গেলে আন্দোলনের সব শক্তিকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবে।
বিএনপি সূত্রের ভাষ্য, অভ্যুত্থানের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব ‘ইনফ্লুয়েন্সাররা’ তাদের অনুসারীদের দিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। সংবাদপত্র কার্যালয়ে হামলা এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর চাপের কারণে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এতে বার্তা যাচ্ছে সরকার দেশ চালাতে পারছে না। তাই সরকার ব্যর্থ হলে অন্য কোনো পক্ষ সুযোগ নিতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্য তিন উপদেষ্টাও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ‘এনগেজমেন্ট’ বাড়াতে সরকারপ্রধানকে পরামর্শ দেন জামায়াত আমির। ড. ইউনূস তাতে ঐকমত্য পোষণ করেন। ভারত থেকে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা চলছে তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। জবাবে তিনি এখন থেকে সব অপপ্রচারের পাল্টা বক্তব্য তুলে ধরা হবে বলে জানান।
জামায়াত সূত্রের ভাষ্য, সরকার কোনো কাজই ঠিকঠাক এগিয়ে নিতে পারছে না। কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েও মাঝপথে পিছিয়ে এসেছে, যা ভালো লক্ষণ। অভ্যুত্থানের সফলতা ধরে রাখতে সরকারের সুস্থিরতা প্রয়োজন। কিন্তু ছাত্রসহ অভ্যুত্থানের নানা শরিক যেভাবে নানা দাবিতে হুটহাট সরব হচ্ছে, চাপ তৈরি করছে, তাতে সুস্থিরতা আসছে না।
সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত একটি দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো, বিশেষত বিএনপি উদ্বেগ থেকেই ঐক্যের কথা বলছে। দলটির শঙ্কা, এভাবে চলতে থাকলে অভ্যুত্থানের বৃহত্তম শরিক হিসেবে দায় নিতে হবে। নৈরাজ্য চললে নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে। তৃতীয় পক্ষ এ পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী কিছুটা সংগঠিত হতে শুরু করায়, তারা এতে সমর্থন দেবে। আবার ছাত্র নেতৃত্ব যেভাবে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে মুখোমুখি করছে, তাও ক্ষতির কারণ হতে পারে। বড় রাজনৈতিক দলগুলো তাই স্থিতিশীলতা চায়, যাতে নির্বাচন দ্রুত হয়।
সরকারের উপদেষ্টারাও জাতীয় ঐক্যের কথা বলছেন। উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, রাজনৈতিক দল, জনগণ বা সরকার এখানে আলাদা কিছু নয়। বাংলাদেশের অখণ্ডতা রক্ষা এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখার এ কাজ সবার। এই ঐক্য ধরে রাখলে আশা করি, আর কখনো ফ্যাসিজম ফিরে আসবে না। বিএনপি ও জামায়াত নেতারাও অখণ্ডতা ও ঐক্যের কথা বলেছেন। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে কীভাবে কাজ করা যায়, তা বলেছেন। যে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা-উন্মত্ততা কীভাবে রুখে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দুটি দলই বিভিন্ন ইতিবাচক প্রস্তাব দিয়েছে। তারা আগের মতোই সরকারকে সহযোগিতা করার কথা বলেছে।
অন্যদিকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, জাতীয় ঐক্য না থাকায় আমরা পিছিয়েছি। জাতীয় স্বার্থে আমাদের অবশ্যই জাতীয় ঐকমত্য দরকার।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সতর্ক করে বলেন, ফ্যাসিবাদ যে কোনো সময় আবার ফিরে আসতে পারে। সেই রাস্তা যেন তৈরি করে না দিই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এমন কতগুলো কাজ করছি, লড়াই করছি; নিজেরা ভাইয়ে ভাইয়ে রক্ত ঝরাচ্ছি। যে কাজগুলোর মধ্য দিয়ে কিন্তু ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার শঙ্কা অনেক বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি না করে ঐক্যের মধ্যে থেকেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সেখানে আমরা কোনোমতেই যেন আর কোনো বিভাজন সৃষ্টি না করি। শান্ত থেকে ধীরে ধীরে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সামনের দিকে যেতে হবে। এ ছাড়া আর কোনো পথ নেই।
নেতারা ঐক্যের কথা বললেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পক্ষে-বিপক্ষে প্রচারণা চলছে। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ঘায়েল করছে। ঐক্যের বিষয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হলেও তারা ষড়যন্ত্র করছে। ফিরে আসতে চাইছে। চট্টগ্রামে আইনজীবীকে হত্যা করে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর যে ষড়যন্ত্র জাতি দেখেছে, তাতে ফ্যাসিবাদরা ফিরে আসার ইঙ্গিত বহন করে। এ সময়ে ঐক্যের ডাক ইতিবাচক।
প্রশাসনিক রদবদলেও বিএনপির আপত্তি দেখা গেছে। জামায়াতও একই আপত্তি তুলেছে। দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। একই সঙ্গে ন্যূনতম সংস্কারের পর যত দ্রæত সম্ভব নির্বাচন প্রয়োজন। জাতি-ধর্ম-দল-মত নির্বিশেষে সবাই মিলে জাতীয় ঐক্য আরও কীভাবে দৃঢ় করা যায়; প্রশাসনে আরও কীভাবে গতি আনা যায়; এসব বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
এদিকে, গতকাল শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন জানিয়ে, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের সব অপচেষ্টা রুখে দিতে, জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৫০ বিশিষ্ট নাগরিক। গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বিবৃতিটি শেয়ার করেন।
এতে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে এবং শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যান। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এক নতুন সূচনার সাক্ষী হয়। এরপর অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী প্রশাসন সমাজের সব স্তরের ব্যাপক সমর্থন লাভ করে। দেশের সামনে এখন জরুরি কাজ হলো রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাস পুনঃস্থাপন, অর্থনীতির পুনর্গঠন এবং একটি গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ তৈরিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, যে কোনো উত্তেজনাপূর্ণ আহ্বান বা কার্যকলাপ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করতে পারে এবং পতিত স্বৈরাচারীকে সুবিধা দিতে পারে। এছাড়া হাসিনা শাসনের রেখে যাওয়া বিশাল অর্থনৈতিক গহ্বর থেকে আমরা এখনো বেরিয়ে আসতে পারিনি। আমরা সব বাংলাদেশিকে, ধর্ম, রাজনৈতিক মতাদর্শ, আদর্শ, লিঙ্গ, বয়স বা যে কোনো বৈশিষ্ট্যের পার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে এ হুমকির মুখে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানাই। আমরা বাংলাদেশের ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বরের প্রতি আমাদের সংহতি প্রকাশ করছি।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আছেন- বাংলাদেশ গবেষণা বিশ্লেষণ ও তথ্য নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক ড. রুমি আহমেদ খান, ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসির প্রতিষ্ঠাতা ড. শামারুহ মির্জা, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট ডা. শফিকুর রহমান, আইনজীবী এহতেশামুল হক, অর্থনীতিবিদ ও লেখক মো. জ্যোতি রহমান, বিজ্ঞানী ও অ্যাক্টিভিস্ট ড. ফাহাম আবদুস সালামসহ অন্যরা।