পুলিশের ভুমিকা নয়ছয়, প্রতিবেদন ও অভিযোগের পরও গুলশানে ডায়মন্ড স্পার নারী সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য
ঢাকার সময় ডেস্ক:
রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান। আর অভিজাত এলাকায় গড়ে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে দিনের পর দিন অনৈতিক কার্যকলাপসহ ব্ল্যাক-মেইল বাণিজ্য যেন এখন যথারিতি। জানা গছে, গুলশান- প্লাটিনিয়াম মর্কেটের (তৃতীয় তলায়) ডায়মন্ড স্পার আড়ালে একাধিক নারী চক্রের সদস্যরা সমাজের আপত্তিকর নারী ও মাদক বাণিজ্য চলিয়ে আসছে বহুদিন ধরে। বিষয়টি গুলশান থানার ওসিকে জানালে তিনি ট্রেনিংয়ে আছেন বলে জানান। পরে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারকে জানালে তিনি পদক্ষেপ নিবেন বলে দৈনিক সংবাদ দিগন্তকে জানিয়েছেন। কিন্তু গেল কয়েকদিন হলো এখনো কোন তাদের পদক্ষেপ নেওয়ার হুদিস পাওয়া যায়নি। পরে তাদের নিকট পদক্ষেপের বিষয়টি জানতে চাইলে পুলিশ বলছে ভাই ভাই পদক্ষেপ নিচ্ছি নিব পরে একপর্যায়ে ফোন রিসিভ করেননি। অত:পর গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ও গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জের হোয়াটসএ্যাপে একাধিক তথ্য পাঠানো হয় কিন্তু তার কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে অসাধু ব্যবসায়ীরা বলছে ভাই তাদের কাছে অভিযোগ করে লাভ নেই। কারন তরাইতো আমাদের নিকট হতে মাসোহারা নিয়ে থাকেন এবং যদি তারা পদক্ষেপ নিত তাহলে আমরা কিএধরনের ব্যবসা করতে পারি।
এদিকে জনসাধারন বলছে, আমরা এসব বিষয়ে তাদের নিকট একাধিক অভিযোগ করেছি কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। পুলিশ অভিযান চালায় ঠিকই যখন তাদের মাসোহারা নিয়ে গড়মিল হয়। তখনই পুলিশের দেধারছে চলে ঘুষ বাণিজ্য। এর আগে এসব ব্যবসা বন্ধ করতে তাদের তেমন মাথা ব্যথা নেই। এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠান স্বৈচারাচরী আ.লীগ সরকারের সময় গড়ে ওঠা। সেই ধারাবাহিকতায় এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। তবে পুলিশের সহযোগীতায় চলছে স্পার আড়ালে অনৈতিক কারবারসহ বিভিন্ন অপরাধ। আমাদের স্বাধীন দেশে এসব চলতে পারেনা। তাছাড়া এটা একটি মুসলিম দেশ। যাহা এসব অনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ রয়েছে। আর যারা এসব ব্যবসা করে থাকেন তাদের নারী সিন্ডিকেট এতটা ভয়ংকর যা বহিপ্রকাশ। উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল, রাজু, শামীম ও হিমেল। এরা প্রত্যেকেই নারী চক্রের সদস্য ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে এবং এদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে নারী ও মাদক মামলা রয়েছে গুলশান থানায়।
সম্প্রত্তি, অসাধু ব্যবসায়ীরা ধিরে ধিরে গড়ে তুলেছে বড় সিন্ডিকেট। এত করে সমাজের উপর প্রভাব পরছে এবং পুলিশের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে জানান এলাকার সাধারন বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীতায় ভ‚গছে। স্বৈরাচারী আ.লীগ সরকারের সময় এসব প্রতিষ্ঠান তাদের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠে। তখন এরা আ.লীগের পরিচয় দিয়ে বেশ দাপটের সাথে প্রকাশ্যে তাদের নারি সিন্ডিকেট ভয়াবাহ রুপ ধারন করছে। সমাজের এমন অপরাধে পুলিশ প্রসাশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের সেক্সুয়াল ইঙ্গিতমূলক চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্লায়েন্ট ডেকে যুবক দিয়ে যুবকদের যুবতী দিয়ে স্পা করানোর নামে চলছে অশ্লিলতা। এ ক্ষেত্রে সুন্দরি বাঙালি তরুণী ছাড়াও থাই, নেপালি বা অন্য কোনেও বিদেশি তরুণীদেরও ব্যবহার করার তথ্য রয়েছে। এছাড়াও ওইসব স্পটে গ্রæপবেঁধে চলে অবৈধ কর্মকাÐ, ঠিক যেন মধুচক্রের আসর। সমাজের নিষিদ্ধ ব্যবসা দির্ঘদীনের। নেই কোন পুলিশের তৎপরতা। তাদের যোগসাজেই চলছে এসব কারবার। জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানে বয়সভিত্তিক বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১০-১২ জন মেয়ে দিয়ে ম্যাসেজ করানো হয়। বয়স ছাড়াও ম্যাসেজে পারদর্শী ও অপারদর্শীদের আলাদা ক্যাটাগরি রয়েছে। ইউনিভার্সিটিপড়ুয়া কম বয়সী মেয়েরাও আছে। যদি কেউ প্রশিক্ষিত মেয়েদের নিয়ে সারা শরীর ম্যাসেজ করাতে চান তাহলে খরচ পড়বে ঘণ্টাপ্রতি ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। যদি এক ঘণ্টা ফুল কাজ করেন তাহলে পড়বে পাঁচ হাজার। ভালো ক্যাটাগরির আকর্ষণীয় মেয়েদের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ছয় থেকে সাত হাজার পড়বে। তবে পুলিশের ঝামেলা হবে না তো? জানতে চাইলে ওই লোকজন ও ব্যবসায়ীরা বলেন, কোনো সমস্যা নাই, আমাদের সব বৈধতার কাগজ আছে। অপরদিকে যারা পরস্পর যোগসাজশে সংঘবদ্ধভাবে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য স্পার নামে পতিতালয় স্থাপন করে বø্যাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
অণ্যদিকে প্রতিষ্ঠানের মালিকগন বলেন, বর্তমানে ব্যবসার অবস্থা ভালো না। বিভিন্ন প্রসাশন অভিযান করছে আমারা তাদেরকেও ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি এবং গুলশান থানা থেকে শুরু করে সবাইকে মাসোহারা দিয়ে থাকি। অথচ এসব বিষয়ে গুলশান বিভাগের পুলিশ প্রসাশন কিছুই জানেন না। তাই এসব অপপ্রচার কারীদের অবিলম্বে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে সমাজ থেকে অশ্লীলতা পাপাচার দুর করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রসানের নিকট জোর দাবি জানায় স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।
ঢাকার সময়