শরীরকে সুস্থ-সবল রাখতে হলে নিয়মিত একসারসাইজ করা প্রয়োজন। আর এর মধ্যে মর্নিং ওয়াক হলো সবচেয়ে সোজা। জেনে নিন মর্নিং ওয়াকের বিভিন্ন গুণাবলি। হাঁটাচলা করার রয়েছে অনেক গুণ। কেন প্রতিদিন মর্নিং ওয়াক করবেন, রোজ সকালে নির্দিষ্ট সময় ধরে হাঁটলে ঠিক কী কী উপকার পাবেন, একনজরে জেনে নিন সেইগুলোই। আপনাদের জন্য রইল মর্নিং ওয়াকের ন’টি গুণ। শরীর সুস্থ-সবল রাখতে হলে রোজ সকালে উঠে কিন্তু হাঁটাচলা করতেই হবে। সব বয়সীদের জন্যই এই রেগুলার একসারসাইজ প্রয়োজনীয়।
১. এনার্জি বুস্টার : সকাল সকাল হাঁটতে বেরোলে শরীর, মন সবই একদম তাজা ফুরফুরে থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন সকাল উঠে একটা নির্দিষ্ট ধরে হাঁটাচলা করলে মানুষের এনার্জি লেভেল বেড়ে যায়। সারাদিন ক্লান্তি ভাব কিংবা ঝিমানি ভাব থাকে না। সারাদিন কাজকর্মে উৎসাহ পাওয়া যায়। শরীর থাকে চনমনে।
২. মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি : মর্নিং ওয়াকের ফলে উর্বর হয় মানব মস্তিষ্ক। তার ফলে যেকোনও কাজেই রিফ্লেক্স বাড়ে। আপনি তাড়াতাড়ি অ্যাক্টিভ হতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে। আর মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যে উন্নতি হলে এবং মাথায় ভালোভাবে রক্ত সঞ্চালন হলে, অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগকেও ঠেকানো যায়।
৩. মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি : জীবনের একঘেয়েমি দূর করতে রোজ সকালে উঠে একটু হাঁটাহাঁটি করুন। দেখবেন এর ফলে নিজেকে অনেক ফ্রেশ লাগবে। চাপমুক্ত হয়ে নতুন করে কাজে মন দিতে পারবেন। সারাক্ষণ একটা মন খারাপ, খিটখিটে মেজাজের সমস্যা দূর হবে অল্প কয়েকদিনেই। আপনার ধারেকাছে ঘেঁষবে না মানসিক অবসাদ।
৪. অনিয়মিত ঘুমের সমস্যার সমাধান : বেশিরভাগেরই অভ্যাস রাতে শুয়ে ফোন ঘাটা। এর জেরে উড়ে গেছে ঘুম। কিন্তু যদি আপনার শরীর অ্যাক্টিভ থাকে, অর্থাৎ সকালবেলা উঠে হাঁটাচলা করেন, তাহলে ন্যাচারাল স্লিপ হরমোন মেলাটোনিনের ক্ষরণ সঠিক ভাবে হবে। তার ফলে সহজে ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন আপনি। অনিদ্রার সমস্যায় ভুগতে হবে না। রাতের ঘুম ঠিকভাবে না হলে কিন্তু সারাটা দিন নষ্ট। তাই সকালে উঠে হাঁটুন। আর তার ফলস্বরূপ রাতে ভালো ঘুম হবে আপনার।