গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
|আরও খবর
রাজধানীতে পুলিশ হত্যা: সুনামগঞ্জের যুবদল সভাপতি গ্রেপ্তার
বিএনপি জানে, নির্বাচন করলে ক্ষমতায় আসতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
সরকারকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল ইসলামী আন্দোলন
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবী জামিন নামঞ্জুর করে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবির পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ ও শেখ শাকিল আহম্মেদ রিপন জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
রিমান্ড শুনানিতে আমীর খসরু মাহমুদ আদালতকে বলেন, গায়েবি মামলা শব্দটি বিশ্বের কোনো দেশে ব্যবহৃত হয় না। গায়েবি মামলা ডিকশনারিতে নতুন শব্দ যোগ হয়েছে। অথচ বিরোধী দলের ৫০ লাখ মানুষ গায়েবি ও মিথ্যা মামলার শিকার। বাংলাদেশের মানুষ যাতে ভোট দিতে না পারে তাই এসব গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। যেখানে লাখো জনতার সমর্থন আছে, সেখানে আমরা কেন সহিংসতা করব? যাদের জনসমর্থন নেই, জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়, তারাই এ সহিংসতা করছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে গুলশানের অপর একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন।