বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সোমবার (৩০ অক্টোবর) গভীর রাত থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথসহ মোড়ে মোড়ে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকেও কাজ করছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা পুরো রাজধানী। কোনো কোনো স্থানে পুলিশের প্রিজন ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে এমন চিত্র দেখে গেছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাইনবোর্ড এলাকায় দেখা গেছে শতাধিক পুলিশ। যেকোনো ধরনের সহিংসতা ও নাশকতা ঠেকাতে কঠোর নিরাপত্তা নিয়ে অবস্থান করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া মহাসড়কটির মাতুয়াইলেও ছিল শতাধিক পুলিশ। দূরপাল্লার বাসে যেন কোনো ধরনের সহিংসতা না হয় তার জন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এসব এলাকায়।
রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, গুলিস্তান, জিপিও, সচিবালয়ের সামনে, সুপ্রিম কোর্ট, প্রেসক্লাব, কাকরাইল, শাহবাগ, পান্থপথ, ফার্মগেট, জাতীয় সংসদ এলাকায় প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। রামপুরা এলাকায়ও পুলিশকে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
এদিকে, নিউমার্কেট, সাইন্সল্যাব এলাকায় পুলিশের অবস্থান না নিলেও টহল গাড়ি দেখা গেছে। তবে আসাদগেট, শ্যামলী, মিরপুর-১০ নাম্বার এলাকায়ও দেখা গেছে পুলিশের সরব উপস্থিতি। এসব এলাকার কোথাও পুলিশের অবস্থান রয়েছে আবার কোথাও পুলিশের টহল গাড়ি।
উল্লেখ্য, ঢাকায় ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ডেকেছে বিএনপি। তাদের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, এবি পার্টিসহ কয়েকটি দল-জোটও এ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা বা সমর্থন দেয়।