করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের জন্য আত্মত্যাগ করলেও অন্য কোনো দল মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে শুধু সমালোচনা করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সাংগঠনিক শক্তিটা হচ্ছে সবচেয়ে বড়। আওয়ামী লীগের এই তৃণমূল পর্যায়ের সাংগঠনিক শক্তি যে আছে, এই মহামারী মোকাবেলার সময় তারা যখন মাঠে নেমেছে, তখনই সেটা প্রমাণিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে যে কারণে আমার প্রায় ৫২২ জন নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছে। এই যে এত বড় স্যাকরিফাইস আর কোনো দল তো বোধহয় করেনি। তারা লিপ সার্ভিস দিয়েছে, ভালো মিডিয়া আছে..।
শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। সভায় দলের নেতাদেরও বিভিন্ন সাংগঠনিক নির্দেশনাও দেন তিনি।
সরকারের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আর আমি তো প্রাইভেটে টেলিভিশন দিয়েছি, প্রাইভেটে রেডিও দিয়েছি, অনেক পত্রিকা। যে যার মতো আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে বলেই যাচ্ছে।
‘কিন্তু তাদেরকে কিন্তু মাঠে মানুষের পাশে দেখা যায়নি। তারা কেউ আবার বিচার করে আওয়ামী লীগের.. কতটুকু করলো আর কতটুকু করলো না। কিন্তু তারা নিজের আয়না দিয়ে চেহারা দেখে না।’
এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে শুধু আওয়ামী লীগই আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন। আওয়ামী লীগ জনগণের স্বার্থে কাজ করে।
প্রধানমন্ত্রী আর বলেন, বাংলাদেশের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নতির জন্যই জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। সেই স্বাধীনতার সুফলটা যেন প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছায়, আমরা যেন দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারি, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
করোনার সঙ্কটকালে সাংগঠনিক কার্যক্রমও চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি খুব বেশি যাতায়াত না করলেও সাংগঠনিক কার্যক্রমগুলো আমাদের একটু অব্যাহত রাখতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের হয়ত সম্মেলন হয়েছে, কিন্তু করোনার কারণে আর আমরা কমিটিও করতে পারিনি বা কারও খোঁজও নিতে পারিনি। আমার মনে হয় এখন আস্তে আস্তে আমরা এগুলো করতে পারব।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলার নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
এসময় দেশবাসীর উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “জনগণের সংগঠন হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে আছে। সেটা এবারও এই করোনা মহামারীর সময়েও প্রমাণ হয়েছে। আর জনগণের আস্থা, বিশ্বাসটা হচ্ছে আমাদের একমাত্র সম্বল। সেটাই আমাদের শক্তি।
আওয়ামী লীগের কাজের বিপরীতে বিএনপি-জামায়াত জোটের ‘অগ্নিসন্ত্রাসের’ কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, তাদের ওই ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ আমরা দেখেছি। সেগুলো আমরা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। সবাইকে আমরা সহযোগিতা করেছি। যারা ক্ষতিগ্রস্ত আমরা এখনও তাদের খোঁজ নিচ্ছি। যেখানে যতটুকু পারি, তাদের সাহায্য আমরা করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এবং ভূমিহীনদের প্রতি সরকারের সহযোগিতা থাকবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।