অফিস সহকারি থেকে কোটিপতি মিরপুর ভুমি অফিসের চয়ন
নিজস্ব প্রতিবেদক
নামে বেনামে প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে গেছেন রাজধানীর মিরপুর ভুমি অফিসের সহকারি রাকিব হোসেন চয়ন। এমন কি তিনি নিজেকে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসাবে এলাকায় পরিচয় দেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজবাড়ীর জঙ্গল ইউনিয়নের অলংকারপুর গ্রামের মোসাদ্দেক মোল্লার ছেলে চয়ন। তিনি ২০১১ সালে কেরানীগঞ্জ ভুমি অফিসে অফিস সহকারি হিসাবে যোগদান করেন। ১৬ হাজার ৩০০ টাকার স্কেলে চাকরি করেন তৃতীয় শ্রেণীর এই কর্মচারি। এখন তার নামে বেনামে প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্পদ বানিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সাভারে জামসিং বিসিএসআইআর হাউজিং সোসাইটির ৫ নম্বর রোডের ৪০ নম্বর বাড়িতে ১৮০০ স্কয়ার ফিটের বিলাসবহুল একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন তিনি। এছাড়া কেরানীগঞ্জ হাজী সোসাইটিতে ১৬০০ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট, ৮টি দোকান, মাগুড়ায় জমি, অলংকারপুর গ্রামে ২ একর জমি, এবং রাজবাড়ি পোষ্ট অফিসে বাবার নামে ৫০ লাখ টাকা এফডিআর ও বোন ইয়াসমিন নাহার এবং শশুড় মান্নানের নামে বিপুল অংকের ব্যাংক ব্যালেন্স রয়েছে। সম্প্রতি অলংকারপুর গ্রামের রউফ মোল্লার কাছ থেকে ৩৬ শতক জমি কিনেছেন। যার মুল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।
এ ব্যাপারে চয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এসব সম্পদ কিছু আমার না।
এদিকে গত রোববার তার আপন চাচা আলাউদ্দিন বাংলাদেশ বেতারের সিকিউরিটি অফিসার হাফিজুর রহমানকে নিয়ে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা করেন। তারা এই প্রতিবেদককে বলেন, চয়ন ছোট চাকরি করেন। তার ব্যাপারে লিখলে লাভ নেই। তারা রিপোর্ট না করার জন্য অনুরোধ করেন এবং রিপোর্ট ঠেকানোর জন্য নানাভাবে তদবির করেন।