ছয় রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা সরকারকে ব্যবসায়ীক সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্যকে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ রাজধানীর তোপখানা রোডের বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ ভবনে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই আহ্বান জানান।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শক্তিশালী করে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। সরকার যদি এই কাজ করে তবে দাম ধীরে ধীরে কমে আসবে বলে তারা উল্লেখ করেন। আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পর্কে তারা বলেন, নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। তারা বলেন, সরকারের উচিত সংস্কারের জন্য ন্যূনতম সময় নেওয়া এবং দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করা। তারা বলেন, সরকার অনেকগুলো সংস্কার কমিশন গঠন করেছে, কিন্তু সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট পাওয়ার আগেই গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এতে সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তারা বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার কর্তৃক গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোকে প্রতিবেদন প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই প্রতিবেদন প্রকাশ করলে সবাই প্রস্তাবগুলো বিশ্লেষণ করতে পারবে। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্য তৈরি এবং বাংলাদেশের বাস্তবসম্মত সংস্কারের মাধ্যমে নতুন যাত্রা শুরু হতে পারে বলেও তারা মতপ্রকাশ করেছেন।
বিজয় দিবসের ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী নির্বাচনের যে রোডম্যাপ দিয়েছেন তাকে তারা স্বাগত জানিয়েছেন। তারা এখন থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মার্চের পরিবর্তে এখনই এই কাজ শুরু করলে ছয় মাসের মধ্যে শেষ করা যাবে।
হাইকোর্ট কর্তৃক সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর কিছু অংশ বাতিলের বিষয়ে তারা বলেন, এর মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তারা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হলে পরবর্তী নির্বাচিত সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেলসহ জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।