ঢাকাSunday , 4 May 2025
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি ও বানির্জ্য
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. গ্রাম বাংলা
  9. চাকরী
  10. জাতীয়
  11. দূর্ঘটনা
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. নির্বাচন
  15. ফটো গ্যালারী
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কেরানীগঞ্জে ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন শামীম আহম্মেদ, কেরানীগঞ্জ

dainikdinerpordin
May 4, 2025 4:41 pm
Link Copied!

কেরানীগঞ্জে ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন
শামীম আহম্মেদ, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫,

ঢাকার কেরানীগঞ্জে মোবাইল রিচার্জ কার্ডের সূত্র ধরে ট্রিপল মাডারের রহস্য উদঘাটন ও মূল ঘাতক মোঃ মহিউদ্দিন হাওলাদার ওরফে শিমুল (৩১)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত ওরা হচ্ছে বিথী আক্তার (২৪),তার শিশু পুত্র রাফসান (৪) ও নুপুর (২৫)। গতকাল বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কেরানীগঞ্জ সার্কেল জাহাঙ্গীর আলম।

সংবাদ সম্মেলনে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি জানান, গত ২৫ এপ্রিল রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মাকসুদা গার্ডেন সিটির সামনে থেকে বস্তাবন্দী় নুপুরের মাথা, হাতপা বিহীন দের খন্ডিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ২৭ এপ্রিল হাসনাবাদ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পোস্তগোলা ব্রিজের পূর্ব দিকে বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ তীর সংলগ্ন অসমান অবস্থায় মৃতদের তিনটি খন্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়। এই খন্ডিত অংশের মধ্যে ছিল একটি পা ও দুইটি উরু। পরে ঘটনাস্থলের পাশের একটি সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সহিত সরাসরিাভাবে জড়িত মোঃ মহিউদ্দিন হাওলাদার ওরফে শিমুলকে রাজধানীর সুরাইন রেললাইন এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে নিহত বিথী আক্তার তার কারখানায় চাকরি করতো। চাকরির সুবাদে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তার সাথে ২০১৭ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। বিষয়টি তার আগের স্ত্রী আগের স্ত্রী রুমা জানতে পারলে সে পুনরায় বিথী আক্তারের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করে। এতে বিথী আক্তার রুবেল নামে অন্য একটি ছেলেকে বিয়ে করে। ওই ঘরে তার রাফসান নামে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। ঘাতক মহিউদ্দিন পরে জানতে পেরে পূনরায় বিথী আক্তার এর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে এবং তাকে বিয়ে না করেই স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে মীরেরবাগ এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে় তার সাথে সংসার করতে থাকে। মহিউদ্দিন হাওলাদার ওরফে শিমুল তার প্রথম স্ত্রী রুমা সহ রাজধানীর কদমতলী থানার জুরাইনে একটি বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে। এই ঘটনাটি পরে তার প্রথম স্ত্রী আবার জানতে পেরে তার সাথে বিভিন্ন সময় ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে় পড়তো। এদিকে বিথী আক্তার মহিউদ্দিন হাওলাদার শিমুলকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এমত অবস্থায় এই অবস্থায় ২৫ এপ্রিল সকালে হাওলাদার শিমুল বিথী আক্তারের বাসায় চলে আসে। এ সময় তার সাথে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে় মহিউদ্দিন হাওলাদার শিমুল গামছা দিয়ে বিথী আক্তার কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার ঘটনাটি দেখে ফেলায় বিথীর শিশু সন্তান রাফসানকেও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে। এসব ঘটনায় ওই ফ্ল্যাটের সাব লেটে ভাড়া থাকা নুপুর চিৎকার করলে তাকেও গামছা দিয়ে় শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে। পরে মৃতদেহ গুলো বাথরুমে নিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে বিভিন্ন প্লাস্টিকের বস্তাায় ভরে। রাফসানের ছয় টুকরা লাশ বস্তা বন্দি করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বেয়ারা এলাকায় একটি ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়। নুপুরের খন্ডবিখন্ড লাশ রাতে মাকসুদা গার্ডেন সিটির সামনে ফেলে দেয়। বিথীর খন্ড বিখন্ড দেহের অংশ বস্তা বন্দী করে বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় ব্রিজের উপর থেকে নদীতে ফেলে দেয়। পরে স্বাভাবিক অবস্থায় সে তার জুরাইনের বাসায় চলে যায় চলে যায়।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।