ঢাকা-মাওয়া সড়কের হকার উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেন ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ
রিপোর্টার আবু বক্কর সিদ্দিক
রাজধানীর ঢাকা-মাওয়া সড়কের জুরাইন এলাকার ব্যস্ততম প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা থেকে হকার উচ্ছেদ করেছে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ। আজ শনিবার বেলা ১১ টা থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। এতে প্রায় আড়াইশো হকারকে রাস্তা থেকে উচ্ছেদ করা হয়। রমজানে জনগণের দুর্ভোগ ও যানজট নিরসনে রাস্তার উপর বসা এসব হকারদের উচ্ছেদ করা হয় এবং এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ।
দীর্ঘদিন যাবত রাজধানীর পোস্তগোলা থেকে জুরাইন মেডিকেল রোড পর্যন্ত ঢাকা-মাওয়া সড়কের প্রায় অর্ধেক সড়ক দখল করে কয়েকশ হকার বিভিন্ন পসরা নিয়ে বসে থাকেন। ফলে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। এসব যানজট নিরসনে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা। এর আগেও এসব হকার উচ্ছেদ করা হলেও তারা আবার বসে পড়েন।
এলাকার বাসিন্দা সুমন জানান, এই মেইন রাস্তাটি আগের চেয়ে কয়েক গুণ প্রশস্ত করা হয়েছে। কিন্তু হকাররা প্রায় অর্ধেক রাস্তা দখল করে রেখেছে। ফলে প্রায়ই যানজট লেগেই থাকে। অন্যদিকে পথচারীদের চলাচল করতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
আরেক পথচারী আকাশ বলেন, এর আগেও কয়েকবার এসব হকারদের রাস্তা থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু কয়েক ঘন্টা যেতে না যেতেই তারা আবার আগের মত বসে পড়ে। রাস্তার যানজট নিরসন ও পথচারী চলাচলের স্বার্থে এসব হকারদের স্থায়ীভাবে উঠায় দেওয়া উচিত।
এদিকে উচ্ছেদ করা কাপড় বিক্রেতা (হকার) বাবলু বলেন, সামনে ঈদ। আমাদের বসতে না দিলে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরে যাব।
আরেক হকার রমজান বলেন, আমরা অনেক বছর যাবত চাঁদা দিয়ে এখানে বসি। এখন উঠায় দিলে আমরা আসছে ঈদে খুবই সমস্যায় পড়ে যাব। তবে কাকে চাঁদা দেন এ ব্যাপারে মুখ খুলেনি কোন হকার।
এ ব্যাপারে উচ্ছেদে অংশ নেওয়া ডিএমপির ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) রফিকুল ইসলাম ও ডেমরা জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মুনীর আহম্মেদ বলেন, ওয়ারি ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আজাদ রহমান স্যারের নির্দেশনায় ও অতিরিক্ত উপ- পুলিশ কমিশনার জাহিদ হোসেন স্যারের এবং জনগণের সহযোগিতায় আমরা এই উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করি। এতে জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের (ট্রাফিক) উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আজাদ রহমান বলেন, জনগণের স্বার্থে রমজান মাসে ব্যস্ততম এই রাস্তার যানজট নিরসনে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোন হকার যেন পুনরায় রাস্তায় বসতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা প্রতিদিনই মনিটরিং করব।