ডিপিডিসি জুরাইন বিভাগ যেন ঘুষের হাট বাজার, দেখার কেউ নেই>
নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিপিডিসি জুরাইন বিভাগে নিয়ম বহির্ভূতভাবে চলছে ডিপিডিসির কার্যক্রম । টাকার বিনিময়ে গ্রাহকের লোড বৃদ্ধি করন, অবৈধ সংযোগ সাধন, মিটার বৃদ্ধি করুন, মিটার পরিবর্তনসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িয়েছেন জুরাইন ডিপিডিসির এক্সএন আহমেদ শফিক ও তার সিন্ডিকেট।
ডিপিটিসির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার যোগসাজসে আহমেদ শফিক জুরাইন বিভাগে তৈরী করেছেন ঘুষ বাণিজ্যের সিন্ডিকেট। বিধি বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধ পন্থায় কোটি কোটি টাকার মালিক বনেছেন তিনি ও তার সহযোগীরা। ভুল রিডিং দিয়ে অতিরিক্ত বিল করে উৎকোচ আদায়, মিটার টেম্পারিং অভিযোগ তুলে হয়রানিসহ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রকৌশলী, সুপারভাইজার, মিটার রিডারসহ এখানকার কর্মচারিরা। এ নিয়ে অভিযোগ করতে গেলে পাল্টা হয়রানির শিকার হতে হয়।
আজকের সংবাদ এর অনুসন্ধানে উঠে আসে গত ০১ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ ২৭৪ নং স্বারকে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপসচিব মোঃ মাসুদ হাসান পাটোয়ারী স্বাক্ষরিত চিটিতে সাথী মেটাল নামক কারখানায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য একটি চিঠি প্রেরণ করলেও, এক্সএন আহমেদ শফিক নিজ ক্ষমতা বলে, টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে এখনো সংযোগ চালু রেখেছেন বলে জানা যায় । গত ৭/৩/২০২৪ তারিখ, গ্রাহক নম্বর ২২০৯৪৬০০ মিটার নাম্বার ০২০৩৩০০০০৫৭৯ এর সংযোগ ও লোডবৃদ্ধিকরণ ও মিটার পরিবর্তন করে প্রকৌশলী আহমেদ শফিক ৭ লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একিভাবে সিএস ১২৬৮ আরএস ৬১৫৫ পূর্ব জুড়াইন দশম তলা ভবনের জন্য ৮ লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠে আহমেদ শফিকের বিরুদ্ধে। প্রত্যক্ষদর্শী এবং অফিসের একাধিক কর্মচারী কর্মকর্তা জানায় নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনে ট্রান্সফর্মার বসানোর কথা থাকলেও ট্রান্সফরমার না দিয়ে সরাসরি সংযোগ দিয়েছেন আহমেদ শফিক ।
তথ্যে আরও উঠে আসে ১২নভেম্বার ২০২৪ ইং তারিখ, স্বারক নং ৫.২৩ এর মাধ্যমে আহমেদ শফিক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে দিলেন ছাড়পত্র, বিনিময় মিলেছে ৮ লক্ষ টাকা । এ বিষয়ে আজকের সংবাদ সরেজসিনে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন , কাগজ দেখে বলতে হবে দুদিন সময় চেয়ে নেন । নির্ধারিত দুদিন পর তাকে ফোন দিলে অফিসে না থাকার অজুহাতে বিষয়টি এরিয়ে যান । গত ১০ দিন যাবৎ তাকে একাধিকবার ফোন ও ক্ষুদ্রবার্তা পাঠিয়েও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।