দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার বিচার কার্যক্রম আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালে নিয়োগ পাওয়া নতুন বিচারকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কয়েকটি আবেদন করা হবে।
জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় ট্রাইব্যুনাল বসবে। যে ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হয়েছে, সেখানেই ২৪’র গণঅভ্যুত্থান দমনে চালানো নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞের বিচার শুরু হবে। যেখানে মূল আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ তার সহযোগীরা।
মূল ভবনের সংস্কার কাজ প্রায় শেষের দিকে হলেও আপাতত টিনশেডের এজলাসেই বসবে ট্রাইব্যুনাল। এখন পর্যন্ত তদন্ত সংস্থা এবং প্রসিকিউশনে ৫৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে। যেগুলোর চলছে চার্জ ফ্রেমিংয়ের কাজ। অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য বিদেশ থেকে আইনজীবী নিয়োগেরও সুযোগ রাখা হয়েছে।
এদিকে, দ্রুততম সময়ে বিতর্কমুক্ত একটি বিচারকাজ সম্পন্ন করতে আশাবাদী ট্রাইব্যুনালের নতুন প্রসিকিউশন টিম। কিন্তু, সাক্ষীদের নিরাপত্তা, ভুক্তভোগীর ক্ষতিপূরণ আইন এবং রাজনৈতিক দলকে সাজা দেওয়ার এখতিয়ারের যে সংশোধনীর কথা বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতে তার কতোটা হয়- সেটি বোঝা যাবে অধ্যাদেশ জারির পর।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্র করে গত জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে।