ঝিনাইদহে ভাগ্নেকে খুনের দায়ে মামার মৃত্যুদন্ড
মহেশপুরে ভাগ্নেকে খুনের দায়ে মামা আব্দুল জলিল সরকারকে মুত্যুদন্ড দিয়েছে ঝিনাইদহের দায়রা জজ আদালতের বিচারক।
সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ নাজিমুদ্দৌলা এ রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আব্দুল জলিল সরকার মহেশপুর উপজেলার ঘুগরী গ্রামের দুলু সরকারের ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত রায়ে জানা যায়, মহেশপুরের ঘুগরী গ্রামের দুলু সরকারের মেয়ের সাথে রইচ উদ্দিনের বিয়ে হয়। সেখানে একটি পুত্র সন্তান হয়। মা শিখা বেগম এক বছর পরে ছেলে সাইদুর রহমান রানাকে রেখে অন্যত্রে বিয়ে করে। আবার বাবাও অন্যত্রে বিয়ে করে। ফলে রানা তার নানা বাড়ীতে থেকে যায়। ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময় নানা দুলু সরকার ইচ্চাকৃত ভাবে নাতিকে ৪ কাঠা জমি রেজিষ্ট্রী করে দেয়। এরপর থেকে মামা জলিলের সাথে ভাগ্নের রানার শত্রুতা বেড়ে যায়। জলিল তার পিতা-মাতাকে মারধর করতে শুরু করে। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৩ সালের ১০ আগষ্ট সন্ধ্যার পরে বাড়ীর সামনের রাস্তার উপর কুপিয়ে রক্তাক্ত করে জখম করে ভাগ্নে রানাকে। চিকিৎসার জন্য মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায় রানা। ঐদিন রাতেই রানার পিতা বাদী হয়ে আব্দুল জলিল সরকারের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩০২ ধারার একটি মামলা দায়ের করে মহেশপুর থানায়। তদন্ত শেষে একমাত্র আসামী মোঃ আব্দুল জলিল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশ। আদালতে দীর্ঘ দিন ধরে বিচার কার্য অনুষ্ঠিত হয়।
আজ সোমবার এ রায় প্রদান করা হয়। রায়ে দোষী সাব্যস্ত করে আব্দুল জলিলকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করে আদালত। এছাড়াও তিন লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য় করে আদালত। এ মামলার আসামী আব্দুল জলিল সরকার পলাতক রয়েছে।